সৈকতের মন ভালো নেই খুব বড়ো কোন কারন নয় , সামান্য ব্যাপার । সৈকত নকুল স্যারের ব্যাচে তার সহপাঠিনী জয়াকে ছোট একটা কাগজে ভালোবাসার বড়ো একটা কবিতা লিখে ফেরার পথে হাতে দিয়েছিল । সৈকতের মতে এই সামান্য ব্যাপার ! নিয়ে অনেক কিছু ঘটে গেছে । প্রথমত নকুল স্যারের ডাণ্ডা , ব্যাচ থেকে বহিষ্কার ,দ্বিতীয়ত বাসার সবার কাছে বখাটে উপাধি ,হাত খরচের বরাদ্দ কমে যাওয়া , তৃতীয়ত স্কুলে এবং বন্ধু মহলে সবার বাঁকা নজর ,হাঁসি ঠাট্টার পাত্র হয়ে যাওয়া , চতুর্থত এবং সবচেয়ে মারাত্মক হল জয়ার সাথে দেখা হয়ার সব সুযোগ বন্ধ মেয়েটার কাছে যাবার জন্যে ঘুর পথে বাসায় ফেরা , নকুল স্যারের ব্যাচে ভর্তি হওয়া ,হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে প্রেমের কবিতার বই কেনা ।একটা ছোট প্রেমপত্র আর সব শেষ !! নিউটনের সুত্র মতে এই প্রেমপত্র দেবার ক্রিয়ার এইসব পতিক্রিয়া কিভাবে হল ?সেদিন ক্লাস শেষে ফেরার পথে কিছুটা পথ আসার পথে সৈকত একথা সেকথা আলাপ করতে করতে যখন আশেপাশে আর কেউ নেই তখন তোতলাতে তোতলাতে “জয়া এই মানে , আমি মানে , একটা জিনিস ,জিনিস না একটা এই যে ,এইটা তোমাকে দিতে চাই , নাও” বলে টুকরো গোলাপি ভাঁজ করা কাগজটা জয়াকে দিয়ে হড়বড় করে আর কি যেন বলে , চলে গেল ,অনেকটা পালিয়ে যাবার মতো ।জয়া কাঁপা হাতে চিঠিটা নিলেও সেটা পড়ে দেখার সাহস পায়নি কেননা ওটা যে প্রেম পত্র এটা বোঝার মতো বুদ্ধি তার আছে, দ্বিতীয়ত সে চিঠিটা বিশ্বস্ত বোন পিয়াকে দিয়ে পুরো ব্যাপারটা বলল ।পিয়া জয়ার চেয়ে বয়সে বড়ো হলেও ওর সাথে একেবারে বন্ধুর মতো সম্পর্ক । কিন্তু এই ব্যাপারটাতে পিয়া বড়ো বোনের মতোই নিল ,নিজে চিঠিটা পড়ল এবং গোপন বৈঠকে মাকে সব খুলে বলে দিল । এরপর যা হবার । মা বাবার আলাপ ।জয়ার মায়ের সৈকতের নামে স্যারের কাছে নালিশ করার সিদ্ধান্তে বাবার দুর্বল অসমর্থন এবং সাথে সাথেই খারিজ । পরদিন ক্লাসের আগে স্যারের কাছে নালিশ স্যারের মাধ্যমে সৈকতের মায়ের কাছে খবর পৌঁছে যাওয়া এবং অতঃপর সৈকতের বর্তমান হাল । সৈকত স্কুলের দেয়ালে বসে ভাবছে কবিরা যে বলে “প্রেম যদি সত্য হয় তবে তা অবশ্যই সফল হয় তা কি সত্যি নয় ? ইস্ একবার যদি জয়াকে দেখতে পেতাম ! মন খারাপ , তবু কেনযে সারাদিন রবীন্দ্রনাথের আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ গানটা ঘুরে ফিরে মনে আসছে । সৈকতের প্রথম প্রেমের প্রথম ঘোর কখন বা কবে কাটবে জানিনা । জয়া তার সাথে প্রেম করবে কিনা , ওরা পরস্পর পরস্পরের হবে কিনা তাও জানিনা । সৈকত এখন অমুক বয়েজ স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র । ঘন কৈশোর । চোখে স্বপ্ন ,মনে বড়ো আকুলতা ,জয় করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা । কোনও এক মনীষী বলেছেন “সকাল দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন হবে” । আমাদের এই বাংলাদেশে একটা কিশোরের কৈশোর দেখে তার জীবনের বাকিটা কল্পনা করা যায়কি ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
“সকাল দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন হবে” । আমাদের এই বাংলাদেশে একটা কিশোরের কৈশোর দেখে তার জীবনের বাকিটা কল্পনা করা যায়কি ?
কথাগুলি মূল্যবান। গল্পটায় কৈশোরের উত্তেজনা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।